![]() |
শবে কদরের ফজিলত: হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব |
সূরা কদর:এই রাতের মর্যাদা বর্ণনা করে পবিত্র কুরআনে একটি সম্পূর্ণ সূরা নাজিল হয়েছে:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ (১) وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ (২) لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ (৩) تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ (৪) سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ (৫)
অর্থ: (১)নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। (২) আপনি কি জানেন কদরের রাত কি? (৩) কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (৪) সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাঈল) অবতরণ করেন তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব বিষয়ে। (৫) এটি শান্তির রাত, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ (১) وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ (২) لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ (৩) تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ (৪) سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ (৫)
অর্থ: (১)নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। (২) আপনি কি জানেন কদরের রাত কি? (৩) কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (৪) সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাঈল) অবতরণ করেন তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব বিষয়ে। (৫) এটি শান্তির রাত, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
শবে কদর কোন রাতে?শবে কদর বা লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলিতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাতে) অনুসন্ধান করা হয়। এই রাতটি অত্যন্ত পবিত্র এবং হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ ( মুসলিম )
শবে কদরের গুরুত্ব
১. কুরআন নাজিল: শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত । এই রাতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেন, যা মানবজাতির জন্য হিদায়াত ও পথনির্দেশ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি একে নাযিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান কদরের রাত কি ? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।" ( সূরা: কদর, আয়াত: ১-৩)
২. সওয়াব ও মাগফিরাত: এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। ( সূরা কদর, আয়াত ৩)
৩. দোয়া কবুল : এই রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাদের ডেকে ডেকে বলেন, ‘কে আছ অসুস্থ, আমার কাছে চাও আমি আরোগ্য দান করব, কে আছ অভাবগ্রস্ত, আমার কাছে চাও আমি প্রাচুর্য দান করব, কে আছ বিপদগ্রস্ত আমার কাছে চাও, আমি বিপদমুক্ত করে দেব।’ এভাবে বান্দার সব প্রয়োজনের কথা বলতে থাকেন। ( মুসনাদে আহমাদ )
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’
শবে কদরের আমল
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর রাতটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এই রাতে নিম্নলিখিত আমলগুলো করা উচিত:
১. নফল নামাজ পড়া।
২. কুরআন তিলাওয়াত করা, বিশেষ করে সূরা কদর, সূরা ইয়াসিন, সূরা রাহমান ও সূরা মুলক।
৩. দোয়া ও ইস্তিগফার করা, বিশেষ করে সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার পড়া।
৪. দরূদ শরিফ বেশি বেশি পড়া।
৫. জিকির-আজকার করা, যেমন তাসবিহ, তাহলিল ও তাকবির পাঠ করা।
৬. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
৭. পরিবার, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা।
৮. দান-সদকা করা এবং গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা।
এই আমলগুলোর মাধ্যমে শবে কদরের রাতকে ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে মহিমান্বিত করুন এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের চেষ্টা করুন।
কদরের রাতে কাদের ক্ষমা করা হবে না ?
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, শবে কদরের রাতে আল্লাহ তায়ালা অনেক গুনাহগারকে ক্ষমা করেন। তবে কিছু বিশেষ গুনাহের কারণে কিছু লোক ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হবে। তারা হলো:
১. শিরককারী: আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।
২. জাদুকারী: যারা জাদু বা যাদুবিদ্যা চর্চা করে।
৩. মদ্যপানকারী: নেশাদার দ্রব্য সেবনকারী।
৪. পিতামাতার অবাধ্য: যারা পিতামাতাকে কষ্ট দেয় বা তাদের আদেশ অমান্য করে।
৫. সম্পর্ক ছিন্নকারী: আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কদরের রাতে উম্মতের গুনাহ ক্ষমা করে দেন, তবে যারা শিরক, জাদু, মদ্যপান, পিতামাতার অবাধ্য এবং সম্পর্ক ছিন্নকারী, তাদের ক্ষমা করা হবে না।" (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ৬৬৫৬)
শবে কদর মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, যাতে তারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও গুনাহ মাফের জন্য আত্মনিবেদন করতে পারে।
Post a Comment
Thank you for your feedback. Stay with us.